রওশন জাহান
কলেজে পড়ার সময় একবার আমার এক বান্ধবী আমার কাছ থেকে বঙ্কিমের কপাল কুন্ডলা বইটি নিয়েছিল। একদিন পর ফেরত দিয়ে বলেছিল এই বই তুমি কিভাবে পড়লে , আমার তো দাঁত ভেঙ্গে গেছে এক পৃষ্ঠা পড়তে গিয়েই। কঠিনেরে ভালবাসতে সবাই পারেনা , কিন্তু আমি মনে হয় পেরেছিলাম। আপনার কবিতা পড়ে খুব আনন্দ পেলাম ।
মোঃ শামছুল আরেফিন
ভাইয়া...... বাংলায় জ্ঞান কেবল উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত। যে কঠিন কঠিন শব্দগুলো কবিতায় পড়লাম সেগুলোর অধিকাংশ আমি মনে হয় আজ প্রথম দেখলাম। একটাই অনুরোধ। কবিতার ভাষা আরও সহজ করেন। তাহলে আমার মত গো মুর্খ যারা আছে তারা কবিতার মর্ম উপলব্ধি করতে পারবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।
ভাই আপনার কমেন্টস এর নিচের রওশন জাহান এর কমেন্টসটা পড়ুন ।কার আবদার পুরন করবো ?নাকি আমার ধারায় আমি চলবো একটু জানাবেন ।শুভ কামনার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
রওশন আপুর কমেন্টস পড়লাম ভাইয়া। রওশন আপু তো নিজেও একজন কবি। বাংলায় দখল ভাল। সো যত কঠিন কবিতাই হোক উনি তো সেটির অর্থ বুঝতেই পারবেনই। তবে আপনি যেহেতু পাঠকের জন্য কবিতা লিখেন তাই পাঠকের কথা একটু ভাবতে হবে। পাঠক যদি আপনার কবিতা নাই বুঝল, কবিতায় আপনি কি বুঝাতে চেয়েছিলেন, কি কথাগুলো পাঠকের মনে গেঁথে দিতে চেয়েছিলেন তা যদি পাঠকের অন্তরালেই থেকে যায় তবে আপনার সাহিত্য চর্চা তো সার্থক হচ্ছেনা। কঠিন কবিতা কোন পাঠকই পড়তে চাইবেনা। বাংলা সাহিত্যের আদিকালে প্রচলন ছিল কঠিন কবিতার।কবিতা শব্দটা যত সহজ আর সাবলীল কবিতাও তত সহজ আর সাবলীল হওয়াটা দরকার। আর ভাইয়া আপনি যদি কবিতা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে চান, কিংবা শুধুমাত্র সাহিত্যিকদের জন্য লিখতে চান তবে আপনার নিজের ধারাটা বজায় রাখতে পারেন।
এটা হচ্ছে ভাইয়া আমার থিওরী। আপনার যুক্তিতে যে ধারা অধিকতর ভাল মনে হয় আপনি সেভাবেই লিখবেন। আর আমার এমন কথায় কিছু মনে করবেন না প্লীজ। কবিতা ভালবাসি বলেই এত কথা বলা।
অযাচিত ভাবে আসার জন্য প্রথমে ক্ষমা চাইছি .......আরেফিনের কথাগুলো পড়লাম , বাবুল ভাইয়ের কবিতা কঠিন হয়েছে মানলাম কিন্তু এই আসরে আরো কয়েকজন কবি ও লেখক আছেন যারা সব সময় কঠিন কঠিন শব্দের ব্যবহার ও আর বাক্য বিন্যাসে কিছুটা ভিন্ন ধারা অবলম্বন করেন তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু এমন সমালোচনা করতে দেখা যায় না .........
মোঃ শামছুল আরেফিন ভাই আপনার আকুতির সাথে আমি কিন্তু পুরোপুরি একমত।আমার কথা হলো যে আবেগে আমি কবিতাটি লিখেছি তা যদি পাঠক অন্তরস্থ করতে না পারলো তবে কি লাভ সেই কবিতা লিখে বা শব্দের চাতুর্যতা দেখিয়ে ।আপনার সুন্দর মতামতে আমার সহমত।ধন্যবাদ।
=যে কোন গঠনমূলক সমালোচনাকে আমি স্বাগত জানাই।হয়তো ওদের চেয়ে আমাকে বেশী ভালোবেসে বা আপন ভেবে শামছুল আরেফিন মন্তব্যগুলি করেছে।আমার মতে এটা সমালোচনা নয় জাষ্ট আলোচনা ।যা ডিস্কাসে ভালো কিছু বেড়িয়ে আসতে বাধ্য।রোদের ছায়ার যুক্তিটিও ঠিক যে কঠিন ভাষার ব্যাবহারের মাধ্যমে পান্ডিত্য জাহিরে ব্যাস্ত যারা তাদেরকেও সমান ভাবে বলা হোক।যাক বন্ধু রোদের ছায়া আলোচনা করার এখতিয়ার বন্ধু সামছুল আরেফিনের কাছে গচ্ছিত থাক।আর এখানে প্রবেশ অযাচিত হয়নি এটা গল্প কবিতা সদস্যদের অধিকার ।
উচ্চমার্গীয়র চঙ্গ(মই)সরিয়ে ফেলুন,নিচে ধপাস করে পরে যাবে।তারপর ঠেসে ধরলেই সব জলবৎ তরলং ! আবার স্বাধীন হতে চাই,স্বাধীন ভাই ।শুভেচ্ছা মাখিয়ে দিলাম আপনার প্রফাইল নীল আঁকাশের গাঁয় ।
হা..হা...হা....হা...ভাই হাসি থামাতে পারছিনা! কবিতা পড়তে এসে রণে ভঙ্গ !না আমি পিছু ধাওয়া করবোনা।আমি আবার আহ্বান জানাচ্ছি কবিতার অন্তর্নিহিত মজাটি লুফে নেয়ার জন্য ।শব্দ কঠিন হলেও বিষয় বস্তু বেশ ইন্টারেস্টিং।অনেকে হয়ত বিরক্ত কিন্তু বুঝলে হয়ে যাবে অনুরক্ত।ধন্যবাদ রইল ।
আহমেদ সাবের
কথায় আছে, "রাজায় রাজায় যুদ্ধ বাঁধে, উলু খাগড়ার প্রাণ যায়"। এডমিনের বেঁধে দেওয়া বিষয় পছন্দ হল না বলে আমরা পাঠকদের এত বড় শাস্তিটা দিলেন? কবিতা যদি নূপুরের রুনুঝুনু না বাজিয়ে শব্দের বোমা বর্ষণ করে, তা কি আর ভাল লাগে? আপনার প্রতিভার সঠিক প্রতিফলন এ কবিতায় না পেলেও আশা করি আগামী কবিতায় পাব।
কেউ শব্দের বোমার ভক্ত আবার কেউবা সহজের অনুরক্ত !কেহ পছন্দ করে ছন্দ আবার কেউবা গদ্যের পদ্য !কেহ পছন্দ করে উরুক্কু কবিতা আবার কেউবা দেখতে চায় শব্দের নির্মাতা!আকুতির নাই কোন শেষ-কিছুই ভেবে পাইনা শেষমেশ !ঠিক আছে সাবের ভাই শব্দের বোমা সব জমা দিয়ে দিবো সরকারি মালখানায়!শুভেচ্ছা কবিতা পড়ার জন্য ।
সেলিনা ইসলাম
চাহনির বেশ কিছু বিশ্লেষণ পড়লাম তবে শব্দ নির্ধারণে মনে হয় আরো একটু সচেতন হলে ভাল হয় । একসাথে এতোগুল কঠিন এবং উচ্চারণে জটিল শব্দ কবিতা পাঠে অতৃপ্তি এনে দেয় । (ব্যাক্তিগত মতামত ) আপনি অনেক ভাল লেখেন নিঃসন্দেহে আগামীতে আরো লেখা পড়বার প্রত্যাশায় শুভকামনা
আমার অঙ্গনে আপনার প্রথম আগমনেই যেন ঘটে গেল মাতামাতি!যেন এস্পার ওস্পার বিদীর্ণ করা কোন উল্কাপিন্ড !কিন্তু আমার মতামত ভিন্ন -ভাষার উচ্চ মাত্রা দিতে চাইনি ।দিতে বাধ্য হয়েছি “প্রিয়ার চাহনি” সাবজেক্ট এর কারনে।যেই কবিতা ভাষার দুর্বোধ্যতার কারনে পাঠকের অন্তরস্থ হয়না সেই কবিতা আমি পছন্দ করিনা।শুভেচ্ছ রইল।
যদিও এই সংখ্যার বিষয়টি আমার মনপ্লুত ছিলনা তাই “চাহনির উম্মাদনাকে”ষোলকলা দেখিয়ে আনলাম আরকি !যাতে এডমিনদেরও ডিকশনারী নিয়ে বসতে হয়।তাছাড়া যেখানে রাষ্ট্রযন্ত্র বাহুবল শো করছে সংবিধান বহির্ভুত ভাবে সেখানে আমরা নস্যি মাত্র ।ধন্যবাদ শেষ বেলার অতিথিিআমার অঙ্গনে ঢু মারার জন্য।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।